দুর্বিসহ একটা সময় যাচ্ছে আমাদের। এক করোনা নিয়েই দুশ্চিন্তার শেষ নেই, তার উপর উঠতি ঝামেলা ডেঙ্গু। নিঃসন্দেহে করোনা অতিমারী একটা বড় সমস্যা, আর এতে বাড়তি জ্বালানী যোগ করছে ডেঙ্গু। আমাদের আশেপাশে অনেক নির্মানাধীন বিল্ডিং পাবেন যার কাজ লকডাউনের কারনে বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলাফল… মশারা বংশবিস্তার করার জন্য একটা সিকিউর গ্রাউন্ড পেয়ে গেছে। নিশ্চিন্ত মনে, দেদারছে বংশবিস্তার করেই যাচ্ছে। পুরো ঢাকায় এরকম কত হাজার কনস্ট্রাকশন সাইট যে মশাদের বংশবিস্তারের জন্য এভাবে পরে আছে ৫ সেকেন্ড ব্যায় করে ভেবে দেখেন।

উপরন্তু চলছে বৃষ্টির মৌসুম। লকডাউনে বাসায় থাকার কড়া নির্দেশ। ম্যাক্সিমাম ব্যবসায়ি ও চাকরিজীবী বাসায় আছে বা কেউ হোম অফিস করছে। অকারনে বাহিরে বের না হয়ে বাসায়/বারান্দায় বসে এককাপ কফি হাতে বৃষ্টি উপভোগ করার দারুন সুযোগ। তবে এই বৃষ্টি উপভোগ করার অগোচরে বাসার ছাদে, দুই বিল্ডিঙের চিপায়, কার্নিসে বা এরকম অনেক জায়গায় পানি জমেই। আর এই জমা পানিতে মশার প্রোডাকশনটা হয়ত চোখে পরে না, আমরা যা দেখি তা হচ্ছে- মশা বাড়ছে।

এই মশা ঠেকানোর জন্য সমাধান হিসেবে আমরা ভালো ভালো কয়েল, অ্যারোসোল তো ব্যবহার করছি ঠিকই, কিন্তু পরদিন সেই আবার মশার উৎপাত। কারন হচ্ছে দুইটা। এক, কয়েল বা অ্যারোসল এডাল্ট মশার জন্য। দুই, এডাল্ট মশাগুলো আগে থেকেই ডিম দিয়েছে ও রেগুলার ডিম দিচ্ছে আর কন্টিনিউয়াস প্রোডাকশন হয়েই চলছে। এভাবে তো চলতে দেয়া যায় না।

কেমন হবে যদি ওই প্লে-গ্রাউন্ড… মানে জমে থাকা পানির জায়গাগুলো থেকে ডিম বা লার্ভি অবস্থায়ই মশাগুলোকে শেষ করে দেয়া যায়? একটু বুদ্ধি খাটিয়ে জমে থাকা পানিগুলো ফেলে দেয়া যায়। কিন্তু বেশ ঝামেলাসাধ্য কাজ। তাছাড়া আবারও যে পানি জমবে না এর নিশ্চয়তাই বা কতটুকু?

এ ক্ষেত্রে একটা ভালো উপায় আছে। ব্যাবিলন নিয়ে এসেছে “টার্মিনেটর” নামে একটি লার্ভানাশক। বাংলাদেশে আমরাই প্রথম মশার লার্ভা নিধন করার নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসতে পেরে ধন্য এবং এর কার্যকারিতাও দারুন। এটা দেখতে দানাদার, সিলেট স্যান্ড বালুর মত। জমে থাকা পানিতে ছিটিয়ে দিতে হয়। আর একবার প্রয়োগ করার পর অনেক দিন ধরে এটার কার্যকারিতা থাকে। প্রয়োগের সাথে সাথেই মশার ডিম ও লার্ভা দুটাই তাৎক্ষনাত নষ্ট হয়ে যায়। আর পরবর্তীতে মশা আবারও ওখানে গিয়ে ডিম পেড়ে গেলেও ডিমগুলো নষ্ট হয়ে যায়। ফলশ্রুতিতে মশার উৎপাদনই বন্ধ হয়ে যায়। তাছাড়া প্রকৃতির উপর টার্মিনেটরের কোন বিরূপ প্রভাব নাই।  টার্মিনেটরের অ্যাক্টিভ উপাদান হচ্ছে টেমিফস যা অর্গানো-ফসফরাসের যৌগ। মশা ও মাছির লার্ভি নির্মুলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, WHO কর্তৃক এটি স্বীকৃত ও অনুমোদিত। অতিমাত্রায় বিষাক্ত না, তবে ফসফেট থাকাতে একটু উটকো গন্ধযুক্ত হয়। চোখ/চামড়ায় পরলে যৎ-সামান্য জ্বালাপোড়া হতে পারে। জমে থাকা পানিতে প্রয়োগের পর ওই পানি কুকুর-বিড়াল বা পাখি খেলে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হবার সম্ভবনা খুবই কম। আর সময়ের সাথে সাথে পরিবেশে মিশে যায়, কোন ট্রেসিং/রেসিডিউ রাখে না।

টার্মিনেটর ব্যাবিলন এগ্রো এন্ড ডেইরি’র একটি জনস্বাস্থ্য পণ্য। এটার দামও হাতের নাগালেই।  ব্যাবিলনের ওয়েবসাইট www.babylonagrodairy.com এ অনলাইনে এটার অর্ডার করা যাবে।  এই পণ্যের মুল উদ্দেশ্য হচ্ছে জনসচেতনতা, দশের উপকার। ব্যাপারটা অনেকটা এমন যে- কেউ তার নিজের ভালোর জন্য ব্যবহার করবেন, কিন্তু উপকৃত হবেন আশেপাশের চল্লিশ ঘর পর্যন্ত  প্রতিবেশীরা। শুধুমাত্র ঢাকা শহরের ৩০% মানুষ যদি তার বাসার আশেপাশে জমে থাকা পানির জায়গাগুলোতে মাত্র একবার ব্যবহার করে, মশার পপুলেশন অর্ধেকে এ নেমে আসতে বাধ্য!

করোনা না পারি, ডেঙ্গুটা অন্তত নির্মুল করা যাবে।