ব্যাবিলন জিংক মনোহাইড্রেট

নামঃ ব্যাবিলন জিংক মনোহাইড্রেট

ফরমুলেশনঃ দানাদার।

উপাদানঃ প্রতি কেজিতে ৩৬০ গ্রাম দস্তা ও ১৭৫ গ্রাম সালফার বিদ্যমান।

ক্ষেত্র ও মাত্রাঃ ধান, গম, ভূট্টা, আলু, পিঁয়াজ, টমেটো, মরিচ, পটল, আখ, তামাক, কলা, পান, মিষ্টিকুমড়া, বাঁধাকপি, ফুলকপি, লেবু, আম, তরমুজ, পেঁপে, বেগুন, ইত্যাদি সহ সকল প্রকার তৈল জাতীয় ফসল, ডাল জাতীয় ফসল, শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন শাক সবজি, সকল প্রকার ফুল ও ফল।

নিয়মাবলীঃ ব্যাবিলন জিংক মনোহাইড্রেট ফসলের বীজ বপণ বা চারা রোপনের পূর্বে জমিতে শেষ চাষের সময় অনুমোদিত মাত্রায় জিংক মনোহাইড্রেট ছিটিয়ে দিন। এছাড়া গাছের শারিরীক বৃদ্ধির সময় জিংক এর অভাবের লক্ষণ দেখা দিলে গাছের গোড়ায় প্রয়োজনীয় পরিমাণ জিংক মনোহাইড্রেট ছিটিয়ে মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দিন। একর প্রতি ২-৩ কেজি। তবে জমির উর্বরতা ও জিংক এবং সালফারের ঘাটতির তারতম্য ভেদে এর মাত্রা কম বেশি হতে পারে।

প্যাক সাইজঃ ১ কেজি।

Description

অভাবজনিত লক্ষণঃ ব্যাবিলন জিংক মনোহাইড্রেট অভাবে কচি পাতার মধ্য শিরা, বিশেষ করে গোড়ার দিকে সাদা হয়ে যায়। পাতায় ফোঁটা ফোঁটা দাগ পড়ে এবং রং তামাটে হয়ে যায়। পাতার শিরা ও কিনারা হলুদ বর্ণ ধারণ করে। পুরাতন পাতায় মরিচা দাগ পড়ে ও নতুন পাতা ছোট হয়ে যায় এবং কুকড়িয়ে যায়। গাছের বৃদ্ধি কমে যায় এবং জমিতে ফসলের বৃদ্ধি অসমান হয়। ফসলে বন্ধাত্ব দেখা দেয় এবং দেরিতে পরিপক্ব হয়। দস্তার অভাবে ৩০% পর্যন্ত ফলন কম হতে পারে।

উপকারিতা/প্রয়োজনীয়তাঃ ব্যাবিলন জিংক মনোহাইড্রেট দস্তা মাটি থেকে অধিক পরিমাণ খাদ্য উপাদান গ্রহণে গাছকে সহায়তা করে। এর সাহায্যে গাছের শিকড় মাটির নিচে বিস্তার লাভ করে এবং নতুন করে কুশি ও ডালপালা গজায়। দস্তা ফসলের রোগ প্রতিরোগ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। দস্তা গাছের শোষিত খাদ্য হজমে সহায়তা করে। দস্তা ফুল ফোঁটাতে ও ফল গঠনে সহায়তা প্রদান করে, ফলে দানা জাতীয় শস্যের দানা পুষ্ট হয় এবং ফলন বেশী হয়।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “ব্যাবিলন জিংক মনোহাইড্রেট”

Your email address will not be published. Required fields are marked *