ব্যাবিলন জিপসাম

নামঃ ব্যাবিলন জিপসাম

ফরমুলেশনঃ পাউডার।

উপাদানঃ প্রতি কেজিতে ২৩০ গ্রাম ক্যালসিয়াম ও ১৭০ গ্রাম সালফার বিদ্যমান।

ক্ষেত্র ও মাত্রাঃ ধান, গম, ভুট্টা, আলু, পিঁয়াজ, টমেটো, মরিচ, পটল, আখ, পাট, তামাক, কলা, পান, মিষ্টিকুমড়া, বাঁধাকপি, ফুলকপি, লেবু, আম, তরমুজ, পেঁপে, বেগুন, ইত্যাদি সহ সকল প্রকার তৈল, ডাল জাতীয় ফসল, শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন শাক সবজি।

নিয়মাবলীঃ ব্যাবিলন জিপসাম জমি তৈরির শেষ চাষের সময় অনুমোদিত মাত্রায় ছিটিয়ে প্রয়োগ করে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। একর প্রতি ১০-১৫ কেজি। তবে জমির উর্বরতা এবং ক্যালসিয়াম ও সালফারের ঘাটতির তারতম্য ভেদে এর মাত্রা কম বেশি হতে পারে।

প্যাক সাইজঃ ৫ কেজি, ১০ কেজি, ২৫ কেজি ও ৫০ কেজি।

Description

অভাবজনিত লক্ষণঃ ব্যাবিলন জিপসাম-এর অভাবে গাছের অগ্রভাগের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। গাছ দূর্বল ও খাটো হয়। পাতার কিনারা ও শিরা হলুদ হয়ে যায় এবং কচি পাতা কুঁকড়ে যায়। অসময়ে ফুল ও ফলের কুঁড়ি ঝরে যায়। গাছের কচি পাতা হলদে ও ফ্যাকাশে হয়ে যায়, বয়স্ক পাতা সবুজ থাকে। কুশি অবস্থায় সমস্ত গাছ ক্লোরোফিল বিহীন অর্থাৎ হলুদ হয়ে যায় ফলে গাছের খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হয়। সালফারের অভাবে গাছের উচ্চতা ও কুশির সংখ্যা কমে যায়, খাটো ছড়া বের হয়, চিটা বেশি হয় এবং ছড়ায় দানার সংখ্যা কমে যায়। ক্যালসিয়াম ও সালফারের অভাবে ২৫% পর্যন্ত ফলন কম হতে পারে।

উপকারিতা/প্রয়োজনীয়তাঃ ব্যাবিলন জিপসাম ফসলের সঠিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। জিপসাম গাছের পাতা সবুজ করে। এছাড়াও গাছের শিকড় ও কুশির সংখ্যা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ফসলের কোষ গঠনে ও গাছের নাইট্রোজেন গ্রহনে সহায়তা করে। সঠিক সময়ে ফসল পরিপক্ক হতে সহায়তা করে। ফসলের গুণগত মান বৃদ্ধি করে। তৈল জাতীয় ফসলে তৈল উৎপাদন বৃদ্ধি করে। শিম জাতীয় উদ্ভিদে নডিউল তৈরীতে সহয়তা করে।

Reviews

There are no reviews yet.

Be the first to review “ব্যাবিলন জিপসাম”

Your email address will not be published. Required fields are marked *