ব্যাবিলনের ছত্রাকনাশকগুলোর নাম, শ্রেণী, ফরমুলেশন, উপাদান, ক্ষেত্র ও মাত্রা, ব্যবহারের সুবিধা ও নিয়মাবলী এবং প্যাক সাইজ নিচে উল্লেখ করা হল-
ব্যাবিলনের ছত্রাকনাশক পরিচিতি
ব্যাবিজল ৭৫ ডব্লিউ জি
শ্রেণীঃ প্রতিরোধক, প্রতিষেধক ও উচ্ছেদক গুণসম্পন্ন প্রবাহমান ছত্রাকনাশক।
ফরমুলেশনঃ ওয়াটার ডিসপারসিবল গ্রানুউল
উপাদানঃ প্রতি কেজিতে ৫০০ গ্রাম টেবুকোনাজল ও ২৫০ গ্রাম ট্রাইফ্লক্সিস্ট্রবিন বিদ্যমান।
ক্ষেত্র ও মাত্রাঃ চায়ের আগা মরা রোগ দমনে ১০ লিটার পানিতে ৫ শতক জমির জন্য ১০ গ্রাম, একর প্রতি ২০০ গ্রাম, হেক্টর প্রতি মাত্রা ৫০০ গ্রাম। ধানের সীথ ব্লাইট দমনে ১০ লিটার পানিতে ৫ শতক জমির জন্য ৪ গ্রাম, একর প্রতি ৮৫ গ্রাম, হেক্টর প্রতি মাত্রা ২০০ গ্রাম ও ব্লাস্ট দমনে ১০ লিটার পানিতে ৫ শতক জমির জন্য ৬ গ্রাম, একর প্রতি ১২৫ গ্রাম, হেক্টর প্রতি মাত্রা ৩০০ গ্রাম।
পিঁয়াজ, রসুন, আম, লিচু, মরিচ, লাউ ও কুমড়া জাতীয় ফসলের আগা মরা, বেগুনী পঁচা এনথ্রাকনোজ, পাউডারী মিলডিউ দমনে ১০ লিটার পানিতে ৫ শতক জমির জন্য ৪ গ্রাম, একর প্রতি ৪০ গ্রাম, হেক্টর প্রতি মাত্রা ১০০ গ্রাম।
ব্যবহারের সুবিধা ও নিয়মাবলীঃ প্রতিরোধক গুণসম্পন্ন হওয়ায় রোগ আসার আগে ব্যবহার করলে ফসলে রোগের আক্রমণ হয়না। প্রতিষেধক গুণসম্পন্ন হওয়ায় রোগ আসার পরে ব্যবহার করলেও ফসলে রোগের আক্রমণ বাড়তে দেয়না। প্রবাহমান গুণসম্পন্ন হওয়ায় দ্রুত গাছের ভিতরে প্রবেশ করে ফলে আক্রান্ত ফসলে দ্রুত রোগের আক্রমণ থেমে যায়। ব্যাবিজল স্প্রে করার ৭-১০ দিন পর ফসল সংগ্রহ করা যায়। সকল ধরণের বালাইনাশক বিকালে ব্যবহার করা উত্তম।
প্যাক সাইজঃ ১০ গ্রাম, ৪০ গ্রাম ও ১০০ গ্রাম।
ডিপন ৩০ ইসি
শ্রেণীঃ প্রতিরোধক, প্রতিষেধক ও প্রবাহমান ছত্রাকনাশক।
ফরমুলেশনঃ ইমালসিফায়েবল কনসেন্ট্রেট
উপাদানঃ প্রতি কেজিতে ১৫০ গ্রাম ডাইফেনোকোনাজল ও ১৫০ গ্রাম প্রোপিকোনাজল বিদ্যমান
ক্ষেত্র ও মাত্রাঃ লাউ ও কুমড়া জাতীয় ফসলের পাউডারী মিলডিউ দমনে এবং পিঁয়াজ, রসুন, বেগুন, শিম, আলু, টমেটো, আম, লিচু, মরিচ ফসলের আগা মরা, বেগুনী পঁচা, উল পঁচা, আগু ধ্বসা নাবী ধ্বসা এনথ্রাকনোজ, পাউডারী মিলডিউ দমনে ১০ লিটার পানিতে ৫ শতক জমির জন্য ৫ মিলি, একর প্রতি ১০০ মিলি, হেক্টর প্রতি মাত্রা ২৫০ মিলি।
ব্যবহারের সুবিধা ও নিয়মাবলীঃ প্রবাহমান গুণসম্পন্ন হওয়ায় দ্রুত গাছের ভিতরে প্রবেশ করে ফলে আক্রান্ত ফসলে দ্রুত রোগের আক্রমণ থেমে যায়। প্রতিরোধক গুণসম্পন্ন হওয়ায় রোগ আসার আগে ব্যবহার করলে ফসলে রোগের আক্রমণ হয়না। আবহাওয়া ও রোগের তীব্রতার উপর ভিত্তি করে ৭-১৪ দিন পরপর গাছ ভিজিয়ে বাতাসের অনুকূলে ডিপন স্প্রে করুন।
প্যাক সাইজঃ ৫০ মিলি, ১০০ মিলি, ৪০০ মিলি
প্রোকার্ব ৭২০ এসএল
শ্রেণীঃ প্রতিরোধক, প্রতিষেধক ও প্রবাহমান ছত্রাকনাশক।
ফরমুলেশনঃ সলুবল লিকুইড
উপাদানঃ প্রতি কেজিতে ৭২০ গ্রাম প্রোপামোকার্ব
ক্ষেত্র ও মাত্রাঃ টমেটোর আশু ধ্বসা রোগ দমনে ১০ লিটার পানিতে ৫ শতক জমির জন্য ২০ মিলি, একর প্রতি ৪০০ মিলি, হেক্টর প্রতি মাত্রা ১ লিটার। পিঁয়াজ, রসুন, আম, লিচু, মরিচ, লাউ ও কুমড়া জাতীয় ফসলের আগা মরা, উল পঁচা, বেগুনী পঁচা, এনথ্রাকনোজ, পাউডারী মিলডিউ দমনে ১০ লিটার পানিতে ৫ শতক জমির জন্য ১০ মিলি, একর প্রতি ২০০ মিলি, হেক্টর প্রতি মাত্রা ৫০০ মিলি।
ব্যবহারের সুবিধা ও নিয়মাবলীঃ প্রবাহমান গুণসম্পন্ন হওয়ায় দ্রুত গাছের ভিতরে প্রবেশ করে ফলে আক্রান্ত ফসলে দ্রুত রোগের আক্রমণ থেমে যায়। প্রতিরোধক গুণসম্পন্ন হওয়ায় রোগ আসার আগে ব্যবহার করলে ফসলে রোগের আক্রমণ হয়না। প্রতিষেধক গুণসম্পন্ন হওয়ায় রোগ আসার পরে ব্যবহার করলেও ফসলে রোগের আক্রমণ বাড়তে দেয়না।
আবহাওয়া ও রোগের তীব্রতার উপর ভিত্তি করে ৭-১৪ দিন পরপর গাছ ভিজিয়ে বাতাসের অনুকূলে প্রোকার্ব স্প্রে করুন। চারাগাছের যেকোনো রোগের অপ্রতিদ্বন্দী ভাবে কাজ করে। প্রোকার্ব স্প্রে করার ৭-১০ দিন পর ফসল সংগ্রহ করা যায়। সকল ধরণের বালাইনাশক বিকালে ব্যবহার করা উত্তম।
প্যাক সাইজঃ ৫০ মিলি, ১০০ মিলি, ৪০০ মিলি
সিকোনাজল ৫ এসসি
শ্রেণীঃ প্রতিরোধক ও প্রবাহমান ছত্রাকনাশক।
ফরমুলেশনঃ সলুবল কনসেন্ট্রেট
উপাদানঃ প্রতি কেজিতে ৫০ গ্রাম হেক্সাকোনাজল
ক্ষেত্র ও মাত্রাঃ আমের এনথ্রাকনোজ, কলার সিগাটোকা, পিঁয়াজ, রসুন, বেগুন, শিম, আলু, টমেটো, লিচু, মরিচ, লাউ ও কুমড়া জাতীয় ফসলের আগা মরা, বেগুনী পঁচা, উল পঁচা, আগু ধ্বসা নাবী ধ্বসা এনথ্রাকনোজ, পাউডারী মিলডিউ দমনে ১০ লিটার পানিতে ৫ শতক জমির জন্য ১০ মিলি, একর প্রতি ২০০ মিলি, হেক্টর প্রতি মাত্রা ৫০০ মিলি।
ব্যবহারের সুবিধা ও নিয়মাবলীঃ প্রবাহমান গুণসম্পন্ন হওয়ায় দ্রুত গাছের ভিতরে প্রবেশ করে ফলে আক্রান্ত ফসলে দ্রুত রোগের আক্রমণ থেমে যায়। প্রতিরোধক গুণসম্পন্ন হওয়ায় রোগ আসার আগে ব্যবহার করলে ফসলে রোগের আক্রমণ হয়না। আবহাওয়া ও রোগের তীব্রতার উপর ভিত্তি করে ৭-১৪ দিন পরপর গাছ ভিজিয়ে বাতাসের অনুকূলে সিকোনাজল স্প্রে করুন।
প্যাক সাইজঃ ৫০ মিলি, ১০০ মিলি, ৪০০ মিলি
ট্রয় ৬৩.৫ এসসি
শ্রেণীঃ প্রতিরোধক, প্রতিষেধক ও উচ্ছেদক গুণসম্পন্ন প্রবাহমান ছত্রাকনাশক।
ফরমুলেশনঃ সলুবল কনসেন্ট্রেট
উপাদানঃ প্রতি লিটারে ১১০ গ্রাম এজোক্সিস্ট্রবিন + ৪০ গ্রাম সিপ্রোকোনাজল + ১২৫ গ্রাম টেবুকোনাজল
ক্ষেত্র ও মাত্রাঃ ধানের ব্লাস্ট ও সিথ ব্লাইট দমনে ১০ লিটার পানিতে ৫ শতক জমির জন্য ১০ মিলি, একর প্রতি ১৮০ মিলি, হেক্টর প্রতি মাত্রা ৪৫০ মিলি। মিষ্টি কুমড়ার পাউডারী মিলডিউ দমনে ১০ লিটার পানিতে ৫ শতক জমির জন্য ১০ মিলি, একর প্রতি ২০০ মিলি, হেক্টর প্রতি মাত্রা ৫০০ মিলি।
ব্যবহারের সুবিধা ও নিয়মাবলীঃ প্রতিরোধক গুণসম্পন্ন হওয়ায় রোগ আসার আগে ব্যবহার করলে ফসলে রোগের আক্রমণ হয়না। প্রতিষেধক গুণসম্পন্ন হওয়ায় রোগ আসার পরে ব্যবহার করলেও ফসলে রোগের আক্রমণ বাড়তে দেয়না। প্রয়োগের দ্রুত গাছ দ্বারা শোষিত হয়। মা পাতা ধান পরিপক্ব হওয়া পর্যন্ত সবুজ থাকে।
প্যাক সাইজঃ ৫০ মিলি, ১০০ মিলি, ৪০০ মিলি
সিমোডিল ৭২ ডব্লিউ পি
শ্রেণীঃ প্রতিরোধক ও প্রবাহমান ছত্রাকনাশক।
ফরমুলেশনঃ ওয়েটেবল পাউডার
উপাদানঃ প্রতি কেজিতে ৬৪০ গ্রাম মেনকোজেব এবং ৮০ গ্রাম মেটালিক্রিল
ক্ষেত্র ও মাত্রাঃ আলুর আশু ধ্বসা ও নাবী ধ্বসা, আমের পাউডারী মিলডিউ, পিঁয়াজ, রসুন, বেগুন, মরিচ ও সব ধরণের শাক সবজির আগা মরা, বেগুনী পঁচা, উল পঁচা, ঢলে পড়া, এনথ্রাকনোজ, পাউডারী মিলডিউ দমনে ১০ লিটার পানিতে ৫ শতক জমির জন্য ২০ গ্রাম, একর প্রতি ৪০০ গ্রাম, হেক্টর প্রতি মাত্রা ১ কেজি।
ব্যবহারের সুবিধা ও নিয়মাবলীঃ প্রবাহমান গুণসম্পন্ন হওয়ায় দ্রুত গাছের ভিতরে প্রবেশ করে ফলে আক্রান্ত ফসলে দ্রুত রোগের আক্রমণ থেমে যায়। প্রতিরোধক গুণসম্পন্ন হওয়ায় রোগ আসার আগে ব্যবহার করলে ফসলে রোগের আক্রমণ হয়না। আবহাওয়া ও রোগের তীব্রতার উপর ভিত্তি করে ৭-১৪ দিন পরপর গাছ ভিজিয়ে বাতাসের অনুকূলে সিমোডিল স্প্রে করুন।
প্যাক সাইজঃ ৫০০ গ্রাম ও ১ কেজি।
সেসজিম ৫০ ডব্লিউ পি
শ্রেণীঃ প্রতিরোধক ও প্রবাহমান ছত্রাকনাশক।
ফরমুলেশনঃ ওয়েটেবল পাউডার।
উপাদানঃ প্রতি কেজিতে ৫০০ গ্রাম কার্বেন্ডাজিম
ক্ষেত্র ও মাত্রাঃ মরিচের এনথ্রাকনোজ ও আগা মরা, পিঁয়াজ, রসুন, বেগুন, আলু, টমেটো, আম, লিচু, লাউ ও কুমড়া জাতীয় ফসলের আগা মরা, বেগুনী পঁচা, উল পঁচা, আশু ধ্বসা ও নাবী ধ্বসা এনথ্রাকনোজ, পাউডারী মিলডিউ দমনে ১০ লিটার পানিতে ৫ শতক জমির জন্য ১০ গ্রাম, একর প্রতি ২০০ গ্রাম, হেক্টর প্রতি মাত্রা ৫০০ গ্রাম।
ব্যবহারের সুবিধা ও নিয়মাবলীঃ প্রবাহমান গুণসম্পন্ন হওয়ায় দ্রুত গাছের ভিতরে প্রবেশ করে ফলে আক্রান্ত ফসলে দ্রুত রোগের আক্রমণ থেমে যায়। প্রতিরোধক গুণসম্পন্ন হওয়ায় রোগ আসার আগে ব্যবহার করলে ফসলে রোগের আক্রমণ হয়না। আবহাওয়া ও রোগের তীব্রতার উপর ভিত্তি করে ৭-১৪ দিন পরপর গাছ ভিজিয়ে বাতাসের অনুকূলে সেসজিম স্প্রে করুন।
প্যাক সাইজঃ ৫০ গ্রাম, ১০০ গ্রাম ও ৫০০ গ্রাম।
ম্যাকজেব ৮০ ডব্লিউ পি
শ্রেণীঃ স্পর্শক্রিয়া গুণসম্পন্ন ছত্রাকনাশক।
ফরমুলেশনঃ ওয়েটেবল পাউডার।
উপাদানঃ প্রতি কেজিতে ৮০০ গ্রাম মেনকোজেব।
ক্ষেত্র ও মাত্রাঃ আলুর আশু ধ্বসা ও নাবী ধ্বসা, আমের পাউডারী মিলডিউ, পিঁয়াজ, রসুন, বেগুন, মরিচ ও সব ধরণের শাক সবজির আগা মরা, বেগুনী পঁচা, উল পঁচা, ঢলে পড়া, এনথ্রাকনোজ, পাউডারী মিলডিউ দমনে ১০ লিটার পানিতে ৫ শতক জমির জন্য ২০ গ্রাম, একর প্রতি ৪০০ গ্রাম, হেক্টর প্রতি মাত্রা ১ কেজি।
ব্যবহারের সুবিধা ও নিয়মাবলীঃ স্পর্শক্রিয়া গুণসম্পন্ন হওয়ায় ব্যবহৃত ফসলে রোগের জীবাণু গাছের ভিতরে প্রবেশ করতে পারেনা। আবহাওয়া ও রোগের তীব্রতার উপর ভিত্তি করে ৭-১৪ দিন পরপর গাছ ভিজিয়ে বাতাসের অনুকূলে ম্যাকজেব স্প্রে করুন।
প্যাক সাইজঃ ১০০ গ্রাম, ৫০০ গ্রাম ও ১ কেজি।
সিভোভিট ৮০ ডব্লিউ পি
শ্রেণীঃ প্রতিরোধক, স্পর্শক্রিয়া গুণসম্পন্ন ছত্রাকনাশক ও পাকস্থলীক্রিয়া গুণসম্পন্ন মাকড়নাশক।
ফরমুলেশনঃ ওয়েটেবল পাউডার।
উপাদানঃ প্রতি কেজিতে ৮০০ গ্রাম সালফার।
ক্ষেত্র ও মাত্রাঃ চায়ের লাল মাকড়, পিঁয়াজ, রসুন, ধান, ভূট্টা, আম, আলু, মরিচ, লাউ ও কুমড়া জাতীয় ফসলের আগা মরা, বেগুনী পঁচা, এনথ্রাকনোজ, পাউডারী মিলডিউ দমনে ১০ লিটার পানিতে ৫ শতক জমির জন্য ৪৫ গ্রাম, একর প্রতি ৯০০ গ্রাম, হেক্টর প্রতি মাত্রা ২.২৫ কেজি।
ব্যবহারের সুবিধা ও নিয়মাবলীঃ স্পর্শক্রিয়া গুণসম্পন্ন হওয়ায় ব্যবহৃত ফসলে রোগের জীবাণু গাছের ভিতরে প্রবেশ করতে পারেনা। প্রতিরোধক গুণসম্পন্ন হওয়ায় রোগ আসার আগে ব্যবহার করলে ফসলে রোগের আক্রমণ হয়না। পাকস্থলীক্রিয়া গুণসম্পন্ন হওয়ায় আক্রান্ত ফসল থেকে রস চোষা মাত্রই মাকড় মারা যায়।
প্যাক সাইজঃ ১০০ গ্রাম, ৫০০ গ্রাম, ১ কেজি ও ২ কেজি।
মরিচের পাতা কুড়িয়ে আছে সাথে লাল মাকড় আছে বিষ দিয়েছি ভ্যাটিমেক ও একতারা দিয়েছি কাজ হচ্ছে না এর সামাধান কি